আমরা যে ফল ও সবজি খাই তাতে কিছু না কিছু দেহের পুষ্টি উপাদান থাকে। পুষ্টি ছাড়া কোন খাবার নেই। কিন্তু কিছু খাবারে এত বেশি পুষ্টি থাকে যে সেগুলোকে সুপারফুড বলা হয়। এই খাবারগুলো আমাদের শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সাহায্য করে।
দেহের পুষ্টিকর খাবারের তালিকা ও ব্যাখ্যা ।

১. আতাফল: সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবারের তালিকায় আতাফল রয়েছে। এতে রয়েছে চিনি, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি২ এবং পটাশিয়াম।
২. বিভিন্ন ধরণের সামুদ্রিক মাছ: সামুদ্রিক কই মাছ বা পোয়া মাছ, চিতল মাছ, কড মাছ, ইল মাছ, টুনা এবং বিভিন্ন ধরণের স্যামন মাছ হল সবচেয়ে পুষ্টিকর খাবার। এই মাছ গুলো তাদের পুষ্টির উপর ভিত্তি করে তালিকাভুক্ত করা হয়।

৩. চিয়া বীজঃ সাম্প্রতিক বছরগুলিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় পুষ্টিকর সুপারফুডগুলির মধ্যে একটি হল চিয়া বীজ। এই ছোট কালো বীজ ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ফাইবার সমৃদ্ধ।
৪. মিষ্টি কুমড়া এবং বীজঃ আয়রন এবং ম্যাঙ্গানিজের ভালো উৎস হল মিষ্টি কুমড়া এবং এর বীজ। মিষ্টি কুমড়া কাঁচা ও পাকা উভয় ধরনের পুষ্টিগুণে ভরপুর। অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য এবং উচ্চ জিঙ্ক উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে সমর্থন করে।
৫. ধনেপাতাঃ ধনেপাতায় রয়েছে পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়ামের মতো বেশ কিছু উপকারী খনিজ রয়েছে। এই পাতায় ভিটামিন এ এবং ভিটামিন কেও রয়েছে।
৬. মটরশুটি এবং মসুর ডাল: মটরশুটিতে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, খনিজ এবং জলে দ্রবণীয় ভিটামিন সমৃদ্ধ। তা ছাড়া এই তালিকায় রয়েছে বিভিন্ন ধরনের মটরশুঁটি।
৭. পেঁয়াজ পাতা: পেঁয়াজ পাতায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। বিভিন্ন ধরনের বাল্ব, পাতা, ফুল এবং টপস ভিটামিন সমৃদ্ধ। এটি ভিটামিন এ এবং ভিটামিন কে-এর বিশেষভাবে ভালো উৎস।
৮. বাঁধাকপি: সব ধরনের বাঁধাকপিই পুষ্টিতে ভরপুর। তবে লাল বাঁধাকপির পুষ্টিগুণ কিছুটা বেশি।
৯. মরিচ : মরিচের গুঁড়ায় ভিটামিন সি, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন এ রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ধরনের আয়রন উপাদান রয়েছে। এছাড়াও, বিভিন্ন ধরণের মরিচ যেমন জালাপেনো মরিচ এবং সবুজ মরিচের পুষ্টিগুণ যেমন অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে।
১০. পুদিনা পাতা: পুদিনা পাতায় থাকা যৌগগুলি হার্টের জন্য ভাল। অ্যান্টিফাঙ্গাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে।
১১. সরিষার শাকঃ সরিষার শাকে সিনিগ্রিন নামক একটি উপাদান থাকে।
১২. লেটুস পাতাঃ পুষ্টিগুণে ভরপুর লেটুস পাতা যত তাজা হয় ততই পুষ্টিকর।
১৩. কলাঃ বিভিন্ন জাতের কলার অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং ডায়াবেটিক প্রতিরোধী উপাদান রয়েছে।
১৪. টমেটো: কাঁচা এবং পাকা। দুই ধরনের টমেটোই পুষ্টিকর। তবে বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন যে কাঁচা টমেটো পাকা টমেটোর চেয়ে বেশি পুষ্টিকর।
১৫. ডালিমঃ ডালিম অ্যান্থোসায়ানিন এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। এছাড়াও, এই ফলটি হার্ট-রক্তনালীর স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী।

অন্যান্য শীর্ষ পুষ্টিকর খাবারের মধ্যে রয়েছে আদা, মিষ্টি আলু, শুকনো খেজুর, গাজর, বাঁধাকপি, ব্রকলি, ফুলকপি, কমলালেবু এবং কমলার মতো ফল।