রেকর্ডব্রেকিং : বিটকয়েন ট্রাম্পের উত্সাহে এর মূল্য $90,000-ছাড়িয়েছে

বিটকয়েন, বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ক্রিপ্টোকারেন্সি, সম্প্রতি রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে এর মূল্য $90,000-ছাড়িয়েছে, বর্তমান বাজার মূল্য 92,768.29 usd যা বাংলা টাকায় ১১,০৯৬,০৩৬ টাকা।যেহেতু এটি বাজারে বিভিন্ন শক্তির প্রভাবের মধ্যে আরও গতিশীল হয়েছে। সম্প্রতি, বিটকয়েন তার আগের শিখর ছাড়িয়ে নতুন রেকর্ড তৈরি করেছে, যার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন্তব্য, যা অর্থনীতি এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কিত নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ছিল।

ট্রাম্প, যিনি তার বিতর্কিত এবং প্রায়ই বাজারে প্রভাব ফেলা মন্তব্যের জন্য পরিচিত, আবারও বিনিয়োগকারীদের মনোযোগ আকর্ষণ করেছেন তার আস্থাশীল দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে, যা ক্রিপ্টোকারেন্সির ক্ষমতাকে বৈশ্বিক অর্থনীতির অনিশ্চয়তার বিরুদ্ধে একটি প্রতিরক্ষা হিসেবে দেখছে। একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে, তিনি বিটকয়েনের প্রশংসা করেছেন, যা গ্লোবাল ফাইনান্সে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন, বিশেষ করে যখন মুদ্রাস্ফীতি এবং অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা প্রচলিত আর্থিক ব্যবস্থাগুলোর ওপর প্রভাব ফেলছে।

সাবেক প্রেসিডেন্টের এই মন্তব্যগুলি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে একটি নতুন আশাবাদ তৈরি করেছে, বিশেষ করে তাদের মধ্যে যারা বিটকয়েনকে সোনার মতো একটি মূল্য সংরক্ষণকারী সম্পদ হিসেবে দেখে। তার ক্রিপ্টোকারেন্সির প্রতি সমর্থন মূলধনী বিনিয়োগকারী এবং উচ্চ-নেট-ওয়ার্থ ব্যক্তিদের মধ্যে ডিজিটাল সম্পদের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছে।

বিটকয়েনের দাম বৃদ্ধি পেয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ $92,000-এ পৌঁছেছে, যা ট্রেডার এবং বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। এখন অনেকেই অনুমান করছেন যে ক্রিপ্টোকারেন্সিটি তার ঊর্ধ্বমুখী গতির ধারাবাহিকতা রাখতে পারে এবং আগামী মাসগুলোতে $100,000-এর স্তর অতিক্রম করতে পারে, বিশেষ করে যখন আরও দেশ ক্রিপ্টোকারেন্সি এবং ব্লকচেইন প্রযুক্তি গ্রহণের দিকে মনোযোগ দিচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন যে এই ঊর্ধ্বমুখী বাজারটি শুধুমাত্র ট্রাম্পের মন্তব্যের কারণে নয়, বরং ব্যাপক অর্থনৈতিক কারণগুলির জন্যও উত্পন্ন হয়েছে, যার মধ্যে মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধি, ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা এবং বিটকয়েনের মূলধনী আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গ্রহণযোগ্যতা বাড়ানো অন্তর্ভুক্ত। ক্রিপ্টোকারেন্সির এমন ক্ষমতা যা এটি একটি বিকেন্দ্রীকৃত এবং সীমাহীন সম্পদ হিসেবে কাজ করতে পারে, তা সেইসব বিনিয়োগকারীদের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয়, যারা অনিশ্চিত সময়ে তাদের সম্পদ রক্ষা করার বিকল্প উপায় খুঁজছে।

তবে কিছু বিশ্লেষক সতর্ক করছেন যে বিটকয়েনের অস্থিরতা বিনিয়োগকারীদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে একটি এমন বাজারে যা এখনও বিকশিত হচ্ছে। তবে, রেকর্ড পরিমাণ মূল্য ওঠানামা এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর সমর্থন বৃদ্ধির সাথে, বিটকয়েনের ভবিষ্যত মূলধনী আর্থিক সম্পদ হিসেবে উত্থিত হতে পারে বলে মনে হচ্ছে।

যেহেতু ক্রিপ্টোকারেন্সি বাজারটি পরিপক্বতা অর্জন করতে চলেছে, সবার নজর থাকবে বিটকয়েনের দাম এবং এটি কিভাবে বৈশ্বিক অর্থনীতির ভবিষ্যতকে আকার দিতে সাহায্য করবে, বিশেষ করে একটি এমন বিশ্বে যেখানে প্রচলিত মুদ্রাসমূহের বিকল্প খুঁজে পাওয়া increasingly গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *