ঘরের মাঠে ভারতকে হোয়াইটওয়াশ করল নিউজিল্যান্ড

শেষ টেস্টে নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে হোয়াইটওয়াশ হল ভারত। তবে আজ মুম্বাইয়ে যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা বিরল ঘটনা। ঘরে মাঠে ভারতকে তিন টেস্টের মধ্যে সব গুলো হারালো।
১৯৮০ সালের সর্ব-বিজয়ী ওয়েস্ট ইন্ডিজ বা ২১ শতকের অস্ট্রেলিয়া কেউই কাজটি করতে পারেনি। ভারতের মাটিতে সিরিজের সব ম্যাচে ভারতকে হারাতে পেরেছে একমাত্র দক্ষিণ আফ্রিকা। দুই ম্যাচের সিরিজে শচীন টেন্ডুলকারের ভারত দলকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল হ্যান্সি ক্রনিয়ের দক্ষিণ আফ্রিকা দল।

কিন্তু নিউজিল্যান্ড আজ 25 রান করে ভারতকে যা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা তা করতে পারেনি। এক বা দুটি গেমের একটি সিরিজ প্রায়ই উপেক্ষা করা খুব সহজ। যাইহোক, যত বেশি ম্যাচ হয় হোয়াইটওয়াশ করা আরও কঠিন হয়ে যায়। সেখানে, কিছুদিন আগে শ্রীলঙ্কার মাটিতে দুই ম্যাচ হেরে নিউজিল্যান্ড ঘরের মাটিতে টানা তিন ম্যাচে ভারতকে হারিয়েছে।

গতকাল ১৪৩ রানে লিড নিয়ে দিন শেষ করেছিল নিউজিল্যান্ড। আজ ব্যাট করতে নেমে মাএ ৩ রান যোগ করতে পারে তারা। ফলে ভারতের জয়ের জন্য ১৪৭ রানের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু গতকাল মনে হচ্ছিল এই স্পিন-প্রবণ মুম্বাই উইকেটে এ রানই বিশাল হবে। আজ ভারত মাত্র ১২১ রানে গুটিয়ে যায়।

স্পিন উইকেট নিয়ে ভারতের সমস্যাগুলো প্রায়ই প্রকাশ পেয়েছে। সিরিজের প্রথম ম্যাচে নিউজিল্যান্ড তাদের গতিতে ভারতকে হারালেও দ্বিতীয় ম্যাচে তারা তাদের স্পিন দিয়ে ভারতকে হারায়। তবে সিরিজের শেষ ম্যাচে স্পিন উইকেটে স্কোর করেছে ভারত।

আর এই উইকেটে পড়ে ভারতের টপ ও মিডল অর্ডার। বুঝতে না পেরে স্বাগতিক দল ২৯ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলে।

একাই লড়েছেন ঋষভ পন্ত। প্রথমে উইকেটের বন্যা থামান রবিন জাদেজা। তবে এজাজ প্যাটেলের হাতে ক্যাচ দিয়ে লাঞ্চের আগেই সেরে ওঠেন জাদেজা (৬)। প্যান্ট আক্রমণাত্মক ট্যাকল করার চেষ্টা করেছিলেন। আর লাঞ্চের আগে ভারত জয় থেকে ৫৫ পয়েন্ট দূরে ছিল।

কিন্তু ভাগ্য ফিরে আসে বিশ্রাম থেকে। ৫৭ বলে নয়টি চার ও ছয়ের সাহায্যে ৬৪ রান করা পান্ত প্যাটেলের পঞ্চম শিকার হন। ভারত তাদের সপ্তম উইকেট হারায়১০৬ রানে। এরপর ভারতকে বাঁচানোর দায়িত্ব ছিল ওয়াশিংটন সুন্দর ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ওপর। উভয় খেলোয়াড়ই ৭ ওভারে ১৪ রান করে তাদের আশার আলো দেয়। কিন্তু মুম্বাইয়ে গ্লেন ফিলিপসের নিরীহ পারফরম্যান্স ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে।

ফিলিপস পরপর দুই বলে অশ্বিন ও আকাশদীপকে ফেরত পাঠান। পরের ওভারের প্রথম বলেই ফিরে আসেন সুন্দর। শেষ তিন উইকেট হারিয়ে শূন্য উইকেটে ১২১ রানে ভারত। দুই ইনিংসে ১১ উইকেট নেন প্যাটেল। মুম্বাইতে তার শেষ সফরে, ইনিংসে দশ উইকেট নেওয়া সত্ত্বেও প্যাটেলকে একটি ম্যাচ হারাতে হয়েছিল। এবং এইবার, তিনি তার দলকে জেতাতে সাহায্য করার জন্য শুধুমাত্র খেলায় ১১ উইকেটই নেননি বরং ভারতকে আগের মতো নম্র করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *